ভূতের সাথে দেখা | পর্ব – ১ | বাংলা ভুতের গল্প | Horror Story
ভূতের সাথে দেখা। বাংলা ভুতের গল্প
Horror Story |
পর্ব – ১
এই গল্পটা আমার স্বর্গীয়া দিদিমা লক্ষিরানী ভট্টাচার্যের মুখে শোনা। দিদিমা না কি স্বচক্ষে অনেক ধরনের ভূত দেখেছিল।
আমি ছোট বেলায় দিদিমার কাছে বড় হয়েছি। দিদিমা এক বিন্দুও লেখাপড়া জানতো না। কিন্তু তার আলৌকিক জ্ঞান ছিল অসাধারণ।
দিদিমা কতরকমের যে রুপকথার গল্প জানতো। তা বলে শেষ করা যাবে না। সেইসব রুপকথার রাক্ষশ খোক্কস লালকমল নীলকমলের গল্প বলে দিদিমা ছোটবেলায় আমাদের ভাই-বোনদের ঘুম পাড়াতো। দিদিমা অল্প বয়সে বিধবা হয়েছিল। মা ই দিদিমার একমাত্র সন্তান। তাই দিদিমা আমাদের কাছেই থাকতো৷ দিদিমার ভূতের গল্পের স্টকও ছিল প্রচুর – শাকচুন্নি, মেছোপেত্নী থেকে শুরু করে মামদো, স্কন্ধকাটা কি ছিল না তার স্টকে! দিদিমা নাকি স্বচক্ষে অনেক ধরনের ভূত দেখেছিল।
দিদিমার শ্বশুরবাড়ি হাওড়ার ইছাপুর কদমতলায়। একবার দাসনগরে অনেক রাতে রাসের মেলা দেখে ফেরার পথে দিদিমা হঠাৎ সখ হল স্টেশনে বসে রেলগাড়ির যাওয়া আসা দেখবে। দাদু তার নতুন বৌ-এর আবদার ফেলতে পারল না। দিদিমাকে নিয়ে দাসনগর স্টেশনের একটা বেঞ্চে গিয়ে বসল।
রাত তখন প্রায় এগারোটা। তখন এখানকার মত স্টেশনের দু প্রান্তে টিমটিম করে আলো জ্বলছে। তখনও পর্যন্ত একটাও আপ বা ডাউন ট্রেন যায়নি। ওরা ছাড়া প্লাটফর্মে একটাও লোক নেই। হঠাৎই একটা ঝড়ের মত ঘূর্ণী বাতাস উঠলো। তারপর সঙ্গে একটা শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছ।
দিদিমা দেখলো একজন মস্তকবিহীন লোক পিটি করার ভঙ্গিমায় রেললাইন ধরে তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে৷ তার হস্ত চালনা আর চলার শব্দে শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে।
দিদিমার ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হাওয়ার জোগাড়! দাদু খুব সাহসী ছিলেন। তিনি এই অবস্থাতেও দিদিমার হাত ধরে, আরেক হাতের আঙুলে পৈত পেঁচিয়ে গায়েত্রী মন্ত্র জপ করতে করতে স্টেশনের বাইরে ছুটলেন। সেই যাত্রায় আর দিদিমার ট্রেন দেখা হলো না। আর
একবার বর্ষাকালের রাতে……..
গল্পের বাকি পার্টগুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো করে সাথেই থাকুন।
_শীতল আচার্য